খবর৭১ঃ
চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে অবকাঠামোগত ৩৩টি চুক্তি স্কাক্ষরিত হয়েছে। দুই দিনের সফরে মিয়ানমারে অবস্থানরত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও মিয়ানামরের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিগুলোর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের উপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্স’র
চুক্তিগুলা দু’দেশের মধ্যে অবকাঠামোগত প্রকল্প গতিশীল করবে বলে দাবি করেছে চীন।চুক্তিগুলোর মধ্যে অধিকাংশই চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনা সম্পর্কিত। তাছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমা চীন থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত রেললাইন, রাখাইনে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, সীমান্তে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইয়াঙ্গুনে একটি নতুন প্রজেক্ট উল্লেখযোগ্য।
ধারণা করা হচ্ছিল, ২০১১ সাল থেকেই ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বিতর্কিত বাঁধ প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করবে দুই পক্ষ। তবে বিষয়টি সতর্কতার সাথে এড়িয়ে গেছেন দুই নেতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে নির্বাচন থাকায় চীনা বিনিয়োগের বিষয়ে মিয়ানমার সতর্কতা অবলম্বন করছে।
এর আগে শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং মিয়ানমারের রাজধানীতে পৌঁছেন। শি’র সফর উপলক্ষে প্রশস্ত মহাসড়ক ও নেইপিয়াডো’র ম্যায়নেকিরড লন -এ শি’র মুখচ্ছবি সম্বলিত লাল ব্যানারে সাজানো হয় এবং বার্মিজ ও ম্যানডারিনরা তাকে অভিনন্দন জানায়। মিয়ানমারে শির এই সফরকে সমালোচকরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কারণে মানবাধিকার অঙ্গনের সাবেক আইকন অং সান সু চির বদলে যাওয়া ভাবাধারার বিপরীতে প্রতীকী সহযোগিতা হিসেবে দেখছেন।