অসময়ের ভাঙন তিস্তায়; হুমকিতে তিন হাজার পরিবার

0
521
অসময়ের ভাঙন তিস্তায়
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অসময়ে তিস্তার ভাঙনে ডান তীররক্ষা বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার ও ৩০০ একর জমির উঠতি ফসল। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের ফোটামারী গ্রামে গত কয়েকদিন থেকে অসময়ে (শুষ্ক মৌসুমে) তিস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। অব্যাহত ভাঙনে ওই গ্রামে অবস্থিত তিস্তা রক্ষা  ডানতীর বাঁধের প্রায় ৬০০ ফুট অংশ সম্পুর্ণ ভেঙে গেছে। বাঁধের ধারে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা না গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুরো বাঁধ ভেঙে তিস্তার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হবে ৩০০ একর জমির আলু, ভুট্টা, তামাকসহ উঠতি ফসল। এছাড়া ফোটামারী ও কুমারপাড়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন শুরু হয়েছে তিস্তা প্রতিরক্ষা ডানতীর বাঁধে (মূল বাঁধ)। ফোটামারী টিহেড গ্রয়িং থেকে ফোটামারী আলসিয়াপাড়া স্পার পর্যন্ত এক কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে তিস্তার পানি ঘাঘট নদীর পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরো বেশ কিছু এলাকাসহ রংপুর শহরে পানি প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

ফোটামারী এলাকার মহুবর রহমান, মমিনুর পালোয়ান, রফিকুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, রমজান আলী ও  জমিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, কয়েকদিনের ভাঙনে বাঁধটি প্রায় বিলীনের পথে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করার পরও ভাঙন রোধে তিনি ব্যবস্থা নেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ এলাকায় আসেননি। এখনই বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে তিস্তার পানিতে দুই গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারসহ উঠতি ফসলসহ আবাদী জমি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া বাঁধ ভেঙে তিস্তার পানি ঘাঘট নদীর সাথে যুক্ত হয়ে রংপুর শহরে প্রবেশ করবে।

এদিকে, তিস্তার ভাঙনের কবলে পড়েছেন ফোটামারী এলাকার ইয়াছিন আলী, লালমোহন, সোলেমান আলী, আজহারুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, লক্ষ্মী রায়, অতুল চন্দ্র, শঙ্কর রায়, টেপা দাস, কেটুদাস, পঙ্কুদাস, সত্য রায়, বিকাশ রায়, পরিমল রায়, নির্মল রায়ের বাড়ি। স্থানীয় ইউপি সদস্য জোবেদ আলী দ্রুত ভাঙন রোধের দাবি করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল জানান, বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে বির্স্তীণ এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। তিনি দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করার পরও কাজ হচ্ছে না।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here