খবর৭১ঃ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কেউই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৩ প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
তবে দুই সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ থেকে ২৬৮ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এতে সংরক্ষিত ওয়ার্ডসহ ১৭২ পদের বিপরীতে ৭৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব মিলিয়ে ভোটের চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকলেন ৭৫৮ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন যেসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। তবে এখনও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনী মাঠে রয়ে গেছেন।
এদিকে আজ শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। রাজধানীর এনআইএলজি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর সিটির এবং গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এরপরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তরের মো. আতিকুল ইসলাম উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে প্রচারে নামবেন। আর ঢাকা দক্ষিণে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন থেকে প্রচার শুরু করবেন।
এর আগে সকালে দুই প্রার্থী ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরে জুমার নামাজ আদায় করার পর প্রচার শুরু করবেন। দক্ষিণে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রতীক পাওয়ার পর প্রয়াত বাবা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করে প্রচারে নামবেন।
এদিকে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১২৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে ১২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ১১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী।
এই সিটিতে মেয়র পদে ৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ও সাধারণ ৫৪টি ওয়ার্ডের বিপরীতে ২৫১ জন অর্থাৎ ৩৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৪৭০ জন।
এর মধ্যে কয়েকজনের প্রার্থিতা বাছাইয়ে বাতিল হয়। উত্তরে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মেয়র পদে আছেন- আওয়ামী লীগের মো. আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক।
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ১২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন জানিয়েছেন।
এ সিটির মেয়র পদে সাতজন, ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮২ জন ও ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩৫ জন মোট ৪২৪ জন চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে থাকলেন। যদিও এ সিটিতে মোট ৫৬৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। এ সিটিতে মেয়র পদে লড়ছেন- আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন, গণফ্রন্টের আবদুস সালাম সুজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাহারানে সুলতান বাহার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আখতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ও কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হবে। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থন দেয়ায় এবার নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা কমে গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরানোর শক্তি কারও নেই। একই সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হাজী মো. জয়নাল আবেদীনও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলাম।
ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, প্রার্থীরা নিজ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে কেউ চাইলে দলীয় সমর্থনের বাইরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তার প্রার্থিতা বৈধ। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন একটি উৎসব। আমরা চাই না এর মধ্যে কেউ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাইকে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে আহ্বান জানাই।
এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কাউন্সিলর পদে সব ওয়ার্ডে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেনি বড় দু’দল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও নগর নেতাদের তৎপরতায় কিছু ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে। তবে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডেই দু’দলে রয়ে গেছে একাধিক প্রার্থী।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে দু’দলই। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে উভয় দলের নীতিনির্ধারকরা।
বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি যুগান্তরকে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের আমরা বুঝিয়েছি।
অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির কাউন্সিলর বাছাই সংক্রান্ত মনোনয়ন বোর্ডের সমন্বয়ক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান যুগান্তরকে বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী দেয়ার জন্য। তবে কোনো কোনো ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। তাদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা দলের স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
আওয়ামী লীগ : দুই সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের বেশকিছু ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জিনাত আলী মাদবর।
এই ওয়ার্ডে বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করব। দলও আমাকে সমর্থন দেবে। এলাকার মানুষও আমার সঙ্গে রয়েছে।
৫নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নুকে। পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা এই ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। জানতে চাইলে যুগান্তরকে তিনি বলেন, গতবারও আমাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সাধারণ মানুুষের চাপে আমাকে নির্বাচন করতেই হবে।
৬নং ওয়ার্ডে রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবিনকে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পিও এই ওয়ার্ডে নির্বাচন করবেন। জানতে চাইলে বাপ্পি যুগান্তরকে বলেন, আমি নির্বাচন করব। আমার জন্য দোয়া করবেন।
বিএনপি : দুই সিটি কর্পোরেশনে বিএনপিরও বেশকিছু ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আফাজ উদ্দিনকে সমর্থন দেয় বিএনপি।
এ ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাক কামাল হৃদয়ও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী আবু তৈয়বকে সমর্থন দেয় বিএনপি। এ ওয়ার্ডে ছাত্রদলের নেতা জামাল হোসেন বাপ্পী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দেয় বিএনপি। এ ওয়ার্ডে বুলবুল মল্লিক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বুলবুল মল্লিক যুগান্তরকে বলেন, স্থায়ী কমিটি আমাকেই সমথন দিয়েছে। পরে তালিকা ঘষামাজা করা হয়েছে। আমিই এলাকায় বেশি জনপ্রিয় এবং বিএনপির প্রার্থী।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা আব্বাস উদ্দিন সরকারকে সমর্থন দেয় দল। এ ওয়ার্ডে যুবদলের জুয়েল আহমেদ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদকে সমর্থন দেয় দল। এ ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সমর্থন দেয় দল। এ ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা নুরুউদ্দিন মিয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ডে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি। এ দুই ওয়ার্ডে তিনজন করে বিএনপি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত আসন-৬ এর ১৬, ১৭ ও ২১নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ফজলে নুর তাপসের সমর্থকরা জোর করে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ধরে এনে প্রার্থিতা বাতিলে বাধ্য করেছেন।
যার প্রত্যাহার করলেন : কাউন্সিরর পদে ঢাকা উত্তরে যে ১২৩ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের নাম বৃহস্পতিবার জানাতে পারেনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর।
তবে ঢাকা দক্ষিণে প্রত্যাহার করা ১৪৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে কবির উদ্দিন আহমেদ ও মাহবুব সালাউদ্দিন উজ্জ্বল, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ আলমগীর হোসেন, কাজী সোহেল আহমেদ ও মো. শওকত হোসেন, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আনোয়ার, আবদুল মমিন ও মো. আসাদুর রহমান খান, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান আসকারি ও সৈয়দ হাসান ইমাম শাহীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসএম মনিরুজ্জামান, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল্লাহ আল মোমেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও জহিরুল ইসলাম, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ ও এসএম জামাল হোসেন, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে রোকসানা আক্তার, ফাহাদ আবেদীন সোহান, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে বিপ্লব হোসেন, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিফাত সাদেকিন, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রশিদ, শান্তনুর খান, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী ও মজিবুর রহমান দুলাল, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান হাবু, ৬২ নম্বর ওয়ার্ড আবদুর রহমান, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী আহমদ, ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে আহমেদুল করিম, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাসেল ইকবাল ও আবদুল মতিন, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হোসেন মিয়া ও আমিনুল ইসলাম, ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে পাবেল খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহাবুদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম, শাহ আলম? ও আব্দুল কাদের, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফা, লুৎফর রহমান ও মনির হোসেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ফ.ক.ম ইকবাল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাশেদ আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মতিউর রহমান জামাল, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেএম জোবায়ের এজাজ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাইনু কিবরিয়া ও সেলিম আহমেদ, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইউনুস ও শাহ আলম লাকি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাদ্দাম হোসেন রবিন ও রাহাদুল হাসান বাইজিদ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শোয়েব আহমেদ ফারুক, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নাঈম আহমেদ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ মোহন ও ইলিয়াস হোসেন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসআই ফরিয়াদ ও মাহিদুল হাসান, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশ্বজিৎ সাহা, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জামাল উদ্দিন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদুল হক ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রাশেদ রেজা রিজভী ওয়াহিদের নওশাদ নাসিরুদ্দিন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রমজান, রিয়াজ উদ্দিন, রাসুরুল হক মল্লিক, এসএম দেলোয়ার হোসেন ও মুজিবুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সারোয়ার উদ্দিন আহমেদ মিঠু, আরিফ হোসেন, ৪৮, নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ হোসেন জুয়েল, জাহিদুল কবির রাজু, তকদির হোসেন ভূঁইয়া, আতিকুল্লাহ, মোহাম্মদ খানমনি, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম ও? আনোয়ার হোসেন সরদার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তানিয়া হোসেন, আশরাফুজ্জামান, আজাদ মো. সাদেকুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কফিল উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শামিম আহমেদ ইকবাল, এবিএম শরীফ, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জিন্নাহ ও মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান, নূরনবী ভূইয়া রাজু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নেয়ামত উল্লাহ নবু, জুয়েল মিয়া, ১ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবির, নুরুজ্জামান জুয়েল, ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন, জামাল উদ্দিন জামাল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জসীম উদ্দীন, আবদুস সালাম, মাহমুদ হাসান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল মোতালেব, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জিএম আতিকুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজামুল মালিক, রাজিয়া সুলতানা, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে এমএ হামিদ খান, মোহাম্মদ আলমগীর, জাকির হোসেন, সৈয়দ মো. মোশারফ হোসেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী আলতাফ হোসেন ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাদিকুল ইসলাম রাসেল, মো. শাহিন খান।
এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা বিনতে ইসলাম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলেয়া আলমগীর, কাজল বেগম, রুমানা খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে খালেদা আলম, মর্জিনা বেগম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আফসানা খানম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাহানাজ বেগম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নার্গিস আক্তার ও? ফারজানা আক্তার (সাথী), ১ নম্বর ওয়ার্ডে ফাতেমা আক্তার ডলি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা আফরোজ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে হোসনে আরা চৌধুরী, শামীমা সুলতানা সালমা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিনা চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইসরাত সরকার জুনা, মল্লিকা জামান মুক্তা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রফিক আফরোজ ও নার্গিস মাহাতাব।