ঝিনাইদহে ‘সম্প্রীতির সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

0
609
ঝিনাইদহে ‘সম্প্রীতির সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ছবিঃ সম্প্রীতি বাংলাদেশ

খবর৭১ঃ একাত্তরের চেতনায় ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঝিনাইদহে ‘সম্প্রীতির সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার আগে একটি শোভা যাত্রা বের করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ -১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, প্রধান বক্তা হিসেবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তা হিসেবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বিশেষ বক্তা হিসেবে সদস্য মিহির কান্তি ঘোষাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোঁটানো। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে যে এখন উন্নয়ন হচ্ছে সম্প্রীতি বজায় আছে বলেই তা সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসগতভাবে একটি প্রাচীন জনপথ। এ জনপথের দর্শন হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা। আর এ দর্শনের উপর ভিত্তি করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলের সম্মিলিত রক্তের বিনিময়ে আমাদের বিজয় এসেছিল। আমাদের স্বাধীনতা এসেছিল।

এই সত্যটাকে ধারণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে সবকিছু ভুলে গিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণভূমিতে যদি আমরা শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকি, আমরা যদি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে পারি তাহলে এদেশে কোনো অবস্থাতেই সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে না। স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বলেন, ইতিহাসে বাঙালির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ এবং এই স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পূর্বে এই জাতিকে যারাই শাসন করে গিয়েছেন তারা কেউই বাঙালি ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি জাতি রাষ্ট্র অর্থাৎ এক জাতির এক রাষ্ট্র। ফলে স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রগতি লাভ করে এবং প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে পৌঁছায়। বাংলাদেশের এই উন্নতি থামিয়ে দেয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় আর বাংলাদেশের শুরু হয় উল্টো দিকে হাঁটা। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ আবার উঠে আসে উন্নয়নের মহাসড়কে।

এখন আবার চক্রান্ত করা হচ্ছে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করে দেশকে আবার অস্থিতিশীল করে তোলার। যে কারণে আমরা নাসিমনগর কিংবা বোরহানুদ্দিনের মত ঘটনাগুলো ঘটতে দেখছি। কাজেই আগে থেকেই এব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান। সম্প্রীতি বাংলাদেশের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেলাল উদ্দিন, তাপস হালদার, ডা. মোঃ সুনান বিন ইসলাম এবং অনয় মূখার্জী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here