সৈয়দপুরে প্রতারণা মামলায় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতা গ্রেফতার

0
564
সৈয়দপুরে প্রতারণা মামলায় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতা গ্রেফতার

মিজানুর রহমান মিলন,সৈয়দপুর:
সৈয়দপুরে এক প্রতারণা মামলায় ৭১’র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. খুরশীদ আলমকে (৫৫)গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে রংপুর বিভাগীয় কমিটির গুরুত্বপুর্ণ পদেও রয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮ নভেম্বর রাতে প্রতারণার শিকার জোবেদা খাতুনের দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন থেকে সে পলাতক ছিল। এরআগে গত ২৮ নভেম্বর শহরের হাতীখানা বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে সংগঠনের সক্রিয় কর্মী মোছা. খোদেজা বেগমকে (৪৭) সদস্য সংগ্রহের নামে টাকা আদায়ের সময় হাতেনাতে আটক করে সৈয়দপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী।

থানায় দায়েকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ৭১’র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এজন্য শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে সংগঠনের নিজম্ব কার্যালয় চালু করা হয়। তখন থেকে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করার নামে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিজনের কাছ থেকে তারা নগদ ২-৩ হাজার করে টাকা আদায় করতে থাকে। ওই প্রলোভনের মধ্যে রয়েছে পরিষদের সদস্য হতে পারলে প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মতো প্রতি মাসে ১০- ১৫ হাজার টাকা সরকারি ভাতা, সরকারের দেওয়া ৯ লাখ টাকার বাড়ি, সন্তানদের সরকারি চাকুরিতে কোটা, জাতীয় দিবসে সম্মাননাসহ সুযোগ-সুবিধা। এমন প্রলোভন দিয়ে গত ২৮ নভেম্বর সংগঠনের কর্মী খোদজা বেগম বানিয়াপাড়ায় সদস্য সংগ্রহ করতে গেলে তাঁর কথাবার্তায় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী ওই নারী কর্মীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সৈয়দপুর থানায় একটি প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার শিকার গৃহবধূ মোছা. জোবেদা বেগম ওরফে জোবে বাদী হয়ে থানায় ওই মামলা করেন। পরদিন ২৯ নভেম্বর আটক খোদেজা বেগম নীলফামারীর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে সে সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘটনার মূল হোতা মো.খুরশীদ আলমসহ তিন জনের নাম বলেন। এদিকে ওই মামলার তিন নম্বর আসামী মো. খুরশীদ আলমকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু সে আত্মগোপনে থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে নাছোড়বান্দা পুলিশ তাঁকে ধরতে সোর্স নিয়োগ করে। অবশেষে সোর্সের দেয়া সংবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয় আসামি খুরশিদ তাঁর কার্যালয়ে অবস্থান করছে।পরে গতকাল বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম মুন্সিপাড়া থেকে গ্রেফতার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই আসামী পলাতক ছিল। জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান আসামি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁকে নীলফামারী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here