খবর৭১ঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিকসামগ্রী তৈরি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্য হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আট শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিনগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আরিফুল ইসলাম নবীন জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎই গ্যাস রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরও অন্তত ৩২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, কিভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, প্লাস্টিক গলানোর যে মেশিন (বয়লার মেশিন) সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কারখানার ভেতর থেকে আনুমানিক ২৭ বছর বয়সী একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি বলেন, ঠিক কতজন দগ্ধ হয়েছেন সেই সংখ্যা এখন নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, দগ্ধদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।