খবর৭১ঃ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যথেষ্ট কূটনৈতিক তৎপরতা দেখিয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে এই সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেটা জোরালোভাবে হয়নি। এর কারণ মিয়ানমারের সমর্থক প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা। মিয়ানমারের সমর্থক দেশ চীন, জাপান এবং ভারত দুই/চার প্যাকেট ত্রাণ দিয়ে দেখায় যে, তারা এই সংকটে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। আবার তারাই মিয়ানমারের অনঢ় অবস্থানে সবচেয়ে বেশি উপাদান যোগাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার টিআইবির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান:সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ১৩ দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কোনো ব্যর্থতা নেই। বরং মিয়ানমারের প্রভাবশালী সমর্থক রাষ্ট্রের কারণে কূটনৈতিক সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ মিয়ানমারে। প্রত্যাবাসনের প্রাথমিক দায়-দায়িত্বও মিয়ানমারের। কিন্তু প্রত্যাবাসনের জন্য তারা রাখাইনে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেনি। ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের আস্থা আসেনি। অপরদিকে, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীজনের ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাপনায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর উদ্ভব হওয়ায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণেরও ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্প পরিচালনা ও ত্রাণ বণ্টনে ‘মাঝি’দের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির ফলে অনিয়ম বাড়ছে।