খবর৭১ঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে বুধবার রাতেই মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার জামিনকে বদলে দেয়া হয়েছে। যা আদালত অবমাননার শামিল।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ৭ দিন পিছিয়ে দেয়া এবং বেগম জিয়ার আইনজীবীদের মৌখিক আবেদন গ্রহণ না করায় সমগ্র জাতি আজ শুধু হতাশই নয়, বিক্ষুব্ধ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ যে সুযোগ-সুবিধা পান তাকে সেটুকুও দেয়া হয়নি। এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। তার জামিন পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার জামিন না দেয়াটা প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধেই শুধু নয়, অমানবিকও বটে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত অবমাননা করেছেন বলে আমরা মনে করি। আনঅফিসিয়াল সূত্রের খবর অনুযায়ী বুধবার রাতে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য রিপোর্ট রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু এটা জমা দেয়া বন্ধ হয়েছে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে।