খবর৭১ঃ গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় খালাস দেওয়া হয়েছে আসামি মিজানুর রহমানকে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে রায় পড়া শুরু হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টায় এ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরুর পরপরই শুরু হয় এই মামলার রায় ঘোষণা। রায় ঘোষণা উপলক্ষে এজলাসে হাজির করা হয় এ মামলার আট আসামিকে। সেখানে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ।
প্রসিকিউশন বিভাগের পুলিশ সূত্র জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী ও আদালতে নিয়োজিত নিয়মিত সাংবাদিকরাই সেখানে উপস্থিত থাকতে পারছেন। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন আদালত প্রতিবেদকরা। টেলিভিশন সাংবাদিকদের কোনো প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের সামনে যাওয়া নিষেধ। তবে আদালত প্রাঙ্গণে থাকতে পারছেন তাঁরা।
এদিকে, রায় ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকার আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই আদালত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন বলেন, সকাল থেকেই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষভাবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা ছাড়া কাউকে আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে অন্য আদালতগুলোর কাজও স্বাভাবিকভাবে চলবে।
আদালত সূত্রে আরো জানা গেছে, জাপানি দূতাবাসের প্রতিনিধি এ মামলার রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষক হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস। যিনি নিহত এক জাপানি ও এক ভারতীয় নাগরিকের জব্দ তালিকায় থাকা ব্যক্তিগত মালামাল (ওয়ালেট, মোবাইল ফোন, হাতের বালা) হেফাজতে নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।