খবর৭১ঃ
পুলিশি বাধায় কুষ্টিয়ায় এসেও নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে না পেরে ঢাকায় ফিরে গেছেন সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক ছাত্র নেতা আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা।
আবরারের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিতে আজ রবিবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় যাবার উদ্দেশে কুষ্টিয়া-পাবনা সীমান্তের লালন শাহ সেতু পার হতেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে সেতুর টোল প্লাজা থেকে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকজন দলীয় নেতা নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় আমান উল্লাহ লালন শাহ সেতু পার হয়ে গাড়ি নিয়ে কুষ্টিয়ার সীমানায় ঢুকলেই কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল বেরুনী ও ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম তাদেরকে আবরারের বাড়িতে যেতে নিষেধ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তারা সেখানে অবস্থানের পর ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। এ সময় দুজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমাদের কুষ্টিয়া লালন শাহ সেতুতে পুলিশ অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করছে। আমরা জাতিকে জানাতে চাই আবরার জাতীর সম্পদ। আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় এসেছিলাম। আমরা জেলা বিএনপির কার্যালযে যাবো। আমরা শহীদ আবরাবের বাড়িতে যাবো। তার বাবা-মার সাথে কথা বলবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদেরকে সেখানে যেতে না দিয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য করল।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) এস এম আল বেরুনী সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিন আগে বুয়েট ভিসি আবরারের বাড়িতে আসলে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করা হয়েছে। আমান সাহেব গেলে হয়তো একই অবস্থা হবে। সেজন্যে তাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি বিষয়টি বুঝে ঢাকায় ফিরে গেছেন।