এবার পুকুর গেলো যুবলীগ নেতার পেটে

0
500
এবার পুকুর গেলো যুবলীগ নেতার পেটে
ছবিঃ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মাদ্রাসার পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরের একাংশে জোর করে বাঁশের খুটি দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করছে যুবলীগ নেতা জিয়াউর হুদা।

আর যুবলীগ নেতার দাবি, দাদার সম্পতি হিসেবে পুকুরে জমির অংশ রয়েছে বলেই তিনি দখল করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিসমত চামেশ্বরী গ্রামে। কিসমত চামেশ্বরী গ্রামে স্থানীয় এলাকাবাসি সাদেক, মিজানুর, রফিকুল ইসলামসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিসমত চামেশ্বরী ঈদগাঁ দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জিয়াউর হুদার পরিবারের পক্ষ থেকে এবং বেশ কয়েকজন দাতা ২৮ বছর আগে মাদ্রাসার নামে ২ একর ৪৭ শতক জমি দান করেন। এরপর থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই পুকুর লিজ দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যখন মাদ্রাসার নামে জমি দান করা হয় তখন জিয়াউর হুদার বয়স আনুমানিক ১০ বছর। দীর্ঘ ২৮ বছর পর হঠাৎ জিয়াউর হুদা পুকুরে তার অংশ আছে দাবি করে বাাঁশের খুটি স্থাপন করলে স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকও হয়।

কিন্তু জিয়াউর হুদা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গাঁয়ের জোরে পুকুরে খুটি স্থাপন করে মাছ তুলে বিক্রি করছে। যেটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। বড়গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল আলম রবি জানান, জিয়াউর হুদা ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এই কাজটি করে সে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। যদি সে জমি পেয়েই থাকে তাহলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করুক। তা না করে পুকুরের অংশে খুটি দিয়ে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। আমরা এসব কোন ভাবেই কাম্য করি না। এ বিষয়ে কিসমত চামেশ্বরী ঈদগাঁ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ নুর আলম সরকার জানান, আব্দুর রহমান, খাদেমুল ইসলাম, সমির উদ্দিন, মনোয়ারা বেওয়াসহ আরো কয়েকজন পুকুরের জমিটি মাদ্রাসার নামে দান করে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে। কিন্তু হঠাৎ করে জিয়াউর হুদা তার দাদার সম্পতি অংশ হিসেবে দাবি করে পুকুরে বাঁশের খুটি দিয়ে এক অংশ দখলের চেষ্টা করছে।

জিয়াউর হুদার যখন বয়স ১০ বছর তখন তার বড় চাচা সমির উদ্দিন অন্যান্যদের মত পুকুরে কিছু জমি দান করেন। তার চাচার অংশকে টেনে দাদার জমি হিসেবে জিয়াউর হুদা তার অংশ পুকুরে জমি রয়েছে বলে আজ দাবি করছে। তারপরও আমরা এ বিষয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছি সমাধান হয়নি। তাই আমরা চাই বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জিয়াউর হুদা দাবি করে জানান, আমি আমার অংশে খুটি স্থাপন করেছি। আর পুকুরে আমি নিজেও মাছ ছেড়েছি। তাই মাছ উত্তোলন করেছি।

আমার ফুফু নফিফা খাতুন ও সরিফা খাতুন আমার নামে জমি লিখে দিয়েছে। সেই জমি পুকুরে রয়েছে। তবে এখানে দলের প্রভাব খাটিয়ে নয়, আমি ব্যক্তিগত ভাবেই এটি করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here