খবর৭১ঃ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুর্কি সেনাবাহিনীর অভিযানে একশ’র বেশি কুর্দি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে গেরিলা হামলার সঙ্গে ব্যাপক হারে বিমান হামলা চালিয়েছে তুর্কিবাহিনী। তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে তুর্কিভিত্তিক সংবাদসংস্থা আহওয়াল নিউজ।
তুরষ্কের প্রসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণের রাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে ওঠায় তা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই আমরা এই অভিযান চালাচ্ছি। অভিযানে এখন পর্যন্ত কুর্দি বাহিনীর ১০৯ জন যোদ্ধা মারা গেছেন।’
বুধবার তুর্কি বাহিনী এরদোগানের নির্দেশে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সরিয়ে সেখানে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য হাজার হাজার সৈন্য প্রেরণ করে। তুরষ্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা অঞ্চলটিকে কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস(ওয়াইপিজি) থেকে নিরাপদ করার পর সেখানে সিরিয়ান অভিবাসীদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন। এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এরদোগান এই অভিযানের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিলেন। পরে ট্রাম্প তার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বুধবার সেখান থেকে নিজেদের শ’খানেক সৈন্য সরিয়ে নেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী বাহিনীগুলোর মধ্যে কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস(ওয়াইপিজি) সবচেয়ে বড় বাহিনী। আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে তাদের শক্তিশালী যোগাযোগ আছে বলে ধারণা করা হয়। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই অভিযানের ব্যাপারে নাক না গলাতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই অভিযানকে ‘অনধিকার প্রবেশ’ বলার সাহস করবেন না।’