খবর৭১ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তার দেশ মাথা নত করবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের জ্বালানীমন্ত্রী বাইজান নামদার জাঙ্গেনেহ। ইরানের জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট শানাতে রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বাইজান। বিবৃতিতে তেলসমৃদ্ধ দেশটির জ্বালানীমন্ত্রী দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাপকে উপেক্ষা করে যেকোনো মূল্যে বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানি করবে ইরান। খবর রয়টার্সের।
বাইজান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে মাথা নত করবে না ইরান। বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানির জন্য সম্ভব সকল ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ তেল রপ্তানি ইরানের আইনগত অধিকার।’
ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে গত বছর দক্ষিণ পারস্যের গ্যাস ক্ষেত্রের ১১ তম পর্যায়ের প্রকল্প থেকে ফরাসি তেল কোম্পানী টোটাল নিজেদের সরিয়ে নেয়। এরপর চীনের জাতীয় পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিএনপিসি) প্রকল্পের দায়িত্বভার গ্রহন করে। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে সম্প্রতি তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাইজান। এ বিষয়ে তিনি জানান, দক্ষিণ পারস্য গ্যাস ক্ষেত্রের বাকি কাজ ইরানের পেট্রোপার্স কোম্পানী শেষ করবে।
প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদকারী দেশেগুলোর মধ্যে বিশ্বে ইরানের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও গত কয়েক দশকের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে রপ্তানিতে দেশটি সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের সকলের বন্ধু হতে চাই। আমরা তাদেরকে শত্রু হিসেবে দেখি না। আমাদের শত্রু হবে মধ্য প্রাচ্যের বাইরে।
সৌদি-ইরান বৈরিতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের সাথে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাদের তেলমন্ত্রীর সাথে দেখা করতেও আমার কোনও সমস্যা নেই।’
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার পর গত বছরের নভেম্বরে ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে এক বছরেই দেশটির তেল রপ্তানি ৮০ শতাংশ কমে গেছে।