খবর৭১ঃ
হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে ইউপি সদস্যসহ ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষনের ঘটনা তদন্তে প্রমানীত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানার ওসি(তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। গত ৯ আগষ্ট সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিজ্ঞ বিচারক বরাবরে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করেন তিনি।
২০ জুন ছাতক সদর ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ৪ সন্তানের জননী জনৈক গৃহবধূ বাদী হয়ে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে একটি পিটিশন মামলা (নং-২৩৭/১৯) দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী বাদীনির ভাসুর ইমাম উদ্দিন, ২ নং আসামী ভাসুরের পুত্র রিপন মিয়া ও ৩নং আসামী ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বামী প্রবাসে থাকায় গৃহবধূ তার ৪ সন্তান নিয়ে শশুর-শাশুরীর পাশের ঘরে বসবাস করে আসছেন। গত ১ জুন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শশুর-শাশুরীর সাথে বাদীনির ঝগড়ার ঘটনা ঘটলে গৃহবধূর বিপক্ষে অবস্থান নেয় ভাসুর ইমাম উদ্দিন ও ভাসুর পুত্র রিপন মিয়া।
ঝগড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক। এসময় গৃহবধূ ক্ষীপ্ত হয়ে শশুরালয় ত্যাগ করে পিত্রালয়ে চলে যান। এ ঘটনায় গ্রহবধূ কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা সনদে ধর্ষনের কোন কথা উল্লেখ করা হয়নি। গৃহবধূর সন্তানসহ এলাকার লোকজন মামলার ঘটনা মিথ্যা বলে সাক্ষ্য দেয়ায় এ মামলা থেকে আসামীদের অব্যাহতি আদালতে চেয়ে এ প্রতিবেদন প্রেরন করা হয়।