খবর৭১ঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল ওরফে তরকারি বাবুল (৩৯), এরশাদুল ওরফে আছাদুল (২৭) ও অলি মিয়া (৪৩)।
পুলিশের দাবি, নিহত বাবুল, আছাদুল ও অলি মিয়া ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটিরও বেশি মামলা রয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা বাবুল ওরফে তরকারি বাবুল জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের বাসিন্দা, এরশাদুল ওরফে আছাদুল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ও অলি মিয়া বুড়িচং উপজেলার জগতপুর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।
জেলা ডিবির ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি এবং থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাতদলের তিন সদস্য আহত হয়। পরে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর দায়িত্বরতচিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড তাজা গুলি, এক রাউন্ড গুলির খোসা, একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, চার রাউন্ড খালি খোসা, ছয়টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া ও রামদা, তিনটি মোবাইল, দুটি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ৫টিরও অধিক করে মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই গোলাম মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।