স্পিকারের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

0
667
স্পিকারের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

খবর৭১ঃ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইরান ইসলামি দেশগুলোর পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (পিইউআইসি) সদস্য। সেক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এসময় তিনি সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্যের প্রসার, জ্বালানি, ওষুধ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বিনিয়োগের বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে আজ ঢাকা সফরত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এমপির সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, ঢাকায় শুরু হওয়া ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সাক্ষাতকালে তাঁরা সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই ব্যবহার, রোহিঙ্গা ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় ইরানের প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ওষুধ ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইরানের বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করা হবে। সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০১৪ সালে ইরান সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নে দু’দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইরানের সহায়তা কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি ইরানের পরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বর্তমান সরকার সারা দেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। সমুদ্র অর্থনীতিও আমাদের সামনে এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। এ সময় তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার আহবান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকদের জন্য আমাদের এ সম্পদকে ব্যবহার করতে হবে একই সাথে এর টেকসই ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে। সোনালী আঁশ পাটকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ বর্হিবিশ্বে পাটজাতপণ্য রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here