ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ডিসেম্বর বা মার্চে

0
518
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ডিসেম্বর বা মার্চে

খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে দুই ধরনের প্রস্তুতি রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা আগামী বছরের মার্চে ভোট গ্রহণের চিন্তা রয়েছে কমিশনের। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট গ্রহণ করতে হলে ১৭ নভেম্বরের পরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর মার্চে হলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তফসিল দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

তবে মার্চে হলে ঢাকার দুই সিটির পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটিতেও একই দিনে ভোট গ্রহণ করতে হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন- ডিসেম্বর, না মার্চে ভোটগ্রহণ তা সরকারের ওপর নির্ভর করছে। ইসি প্রস্তুতি রাখছে সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই যাতে ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা যায়।

ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি গুরুতর, তাই ডিসেম্বরে ভোট নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের জন্য মার্চ মাস উপযুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে।
এদিকে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠানে ইসির প্রস্তুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও চলছে নানা আলোচনা। মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আলাপ হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে। তিন সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২০১৫ সালের একই দিনে ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট হয়েছিল। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ হবে আগামী বছরের (২০২০ সালের) ১৩ মে পর্যন্ত; আর দক্ষিণে ১৬ মে পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে (২০২০ সালের) জুলাইয়ে। আর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ নির্বাচনের উপযোগী হচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এবং চট্টগ্রাম নির্বাচনের উপযোগী হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন- ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকার দুই সিটিতে ভোট করতে হলে ১৭ নভেম্বর বা এরপরে ইসিকে নির্বাচনের তফসিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন ৩৮ থেকে ৪২ দিন সময় পাবে। সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটিতে ভোট করার চিন্তাও রয়েছে ইসির। এক্ষেত্রে ৪২/৪৩ দিন হাতে রেখেও কমিশন ১৭ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল দিতে পারবে। ইসি সচিবালয় তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা ভোটার তালিকার নানা বিষয় পর্যবেক্ষণে রাখছে। ডিসেম্বরে ভোট হলে পুরনো ভোটার তালিকা দিয়ে যাতে ভোট করা যায় সেই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। আর মার্চে ভোট করতে হলে নতুন ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। ইভিএম ব্যবহার : ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আসন্ন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমান ইসির অধীনে নতুন ইভিএমে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ভোট হয়। সর্বশেষ গত ৫ মে ময়মনসিংহ সিটিরও সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় আসন্ন তিন সিটি ও পৌরসভার ভোটে ইভিএমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ জন্য ইসি সচিবালয় কাজ করে যাচ্ছে।