খবর৭১ঃ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে পাইকগাছার রাড়ুলীর জেলে পল্লী। ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। প্রতিদিন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে জেলে পল্লীর বাসিন্দারা। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আংশকা করছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের ৩নং ও ৫নং ওয়ার্ডের গফুরের ঘাট এলাকা থেকে আলাউদ্দীনের খাল পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলে পল্লীর অসংখ্য ঘর-বাড়ী নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। জেলে পল্লীর বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাস জানান, অনেক আগে থেকেই ভাঙ্গন সৃষ্টি হলেও এতোটা ভয়াবহতা ছিলনা। সম্প্রতি ভারী বর্ষণের ফলে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
কুমার বিশ্বাস জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেয়ারের রাস্তা অনেক আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভয়াবহ ভাঙ্গনে অসংখ্য ঘর-বাড়ী নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। অঞ্জলী বিশ্বাস জানান, জেলে পল্লীতে আমরা ৫০ পরিবার বসবাস করি। ভয়াবহ ভাঙ্গনের কারণে প্রতিদিন ছেলে- মেয়েদের নিয়ে আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। আমরা সাহায্য চাই না। বসবাসের নিশ্চয়তা চাই, চাই ভাঙ্গনরোধ। ইউপি সদস্য জাহান আলী গাজী জানান, স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বাঁশের পাইলিং করে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাঙ্গনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি কোন পাইলিং কাজে আসছে না। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, দ্রুত ভাঙ্গনরোধ করা না গেলে যে কোন সময়ে কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানিতে রাড়ুলী, ভবানীপুর, বাঁকা, শ্রীকণ্ঠপুর সহ গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করছি। এ জন্য জরুরী ভিত্তিতে ব্লক ও খাঁচা সহ ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়ন সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু সহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভাঙ্গন কবলিত জেলে পল্লী বাসিন্দারা।