খবর৭১ঃ
যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিলে, শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ভারত কখনও প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না এমন একটি নীতি রয়েছে। এবার সেই নীতিতে বদল ঘটাতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুক্রবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণে রাজস্থানের পোখরানে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ ইঙ্গিত দেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারতকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন অটলজি। তবে পরমাণু অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার আমরা করব না, এই নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত সেই নীতি মেনেই চলছে ভারত। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে ভারত।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর পাকিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে রাজনাথের এই মন্তব্যকে অনেকেই পাকিস্তানের প্রতি হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ ও ১৯৯৮ সালে ভারত পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। রাজস্থানের পোখরানেই হয়েছিল এই দুটি পরীক্ষা। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথমবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। তার দু’দশক পরে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। জবাবে দু’সপ্তাহ পরে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে দেখায় পাকিস্তান। তাতে নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মহল। এরপর ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের উপরেই পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা বসায় মার্কিন সরকার। যদিও ছ’মাস পরে তা উঠে যায়।