খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রাকিবুল ইসলাম রকি (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সিপাইগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ নালার পাড়ে আকাশমনি গাছ থেকে কলেজ ছাত্রের ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা পুলিশের সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সোমবার সকালে উল্লিখিত এলাকায় একটি গাছে এক কিশোরের মরদেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে
সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক বাপি কুমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।পরে লাশ থানায় আনা হয়। খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই কামারুল ইসলাম রাশেদ সৈয়দপুর থানায় গিয়ে মরদেহটি তার ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রকির বলে শনাক্ত করেন।
নিহত রাকিবুল ইসলাম রকি সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বড়ুয়া পাটোয়ারাীপাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার মো. আফজাল হোসেনের পুত্র। রকি পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় থাকত। ছয় ভাইয়ের মধ্যে সকলের ছোট ছিল সে।
নিহত রকির বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কামারুল ইসলাম রাশেদ জানান, ঘটনার আগের দিন তার ভাই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তার মুঠোফোনে কল করে বলা হয় আপনার ভাই সমস্যায় পড়েছে। আপনারা দ্রুত আসেন। এর পর থেকে আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। আর তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর কোনো কারণও তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।তবে তিনি অভিযোগ করেন, ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রকিকে কে বা কাহারা হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য গাছে লাশ ঝুলে রাখা হয়েছে। তবে তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডটি প্রেমঘটিত হতে পারে বলে ধারণা তার। এদিকে এ ঘটনায় ওইদিনই সৈয়দপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে জানিয়ে ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক নিমাই চন্দ্র রায় বলেন এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে।