খবর৭১ঃ
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ কোরবানির পশু কেনার কাজটা সেরে ফেলেছেন। বাকিরা আজ রাতেই মধ্যে কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও সেই সংখ্যা কম। কারণ পশু কেনার ক্ষেত্রে এবার বেশিরভাগ ক্রেতাই ঈদের আগের দিনের জন্য অপেক্ষা করেননি। ঈদের ২-৩ দিন আগেই কোরবানির পশু কিনেছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এখনও ট্রাকে-ট্রাকে গরু আসছে। এদিকে, যারা এখনও পশু কেনেননি তারা মনে করছেন দাম কমবে আর বিক্রেতারা অপেক্ষা করছেন একটু বেশি লাভের আশায়। তবে শেষ পর্যন্ত কারা বেশি সুবিধাটা নিতে পারবেন সেটা সময়ই বলে দিবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাটের যে অবস্থা তাতে লাখের নিচের গরুগুলোর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে গরু খুঁজছেন। লাখের উপরে গরু যে কেউ কিনছেন না এমন নয়, তবে সেটা কম। তবে দাম অন্যবারের তুলনায় কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুনঃ শেষ দিনেও উপচে পড়া ভিড় সদরঘাটে
রাজধানীর শনির আখড়া, ধোলাইখাল, কমলাপুর, নয়া বাজার, ধুপখোলা ও শনির আখড়া হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখনও গরু আসছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু আছে, তারপরও ট্রাকে-ট্রাকে ঢুকছে গরু। অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন হিসেবে হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। তবে গরুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও দাম কমাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এক্ষেত্রে গরুর দাম নিয়ে ত্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন বাজার চড়া, আবার কেউ কেউ বলছেন গরুর দাম কিছুটা হলেও সহনীয় আছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে এবার মোট ২৪টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। এর মধ্যে মিরপুরের গাবতলী স্থায়ী গবাদি পশুরহাটসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) এবার কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে মোট ১০টি স্থানে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কোরবানির পশুরহাট বসবে মোট ১৪টি স্থানে। এ সব হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২৫টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।