ডেঙ্গুর ভয়াবহতাঃ আগস্টের ৮ দিনে ছাড়িয়েছে জুলাইয়ের রেকর্ড

0
547
আগস্টের ৮ দিনে ছাড়িয়েছে জুলাইয়ের রেকর্ড
হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রুগী। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। চলতি মাসের ৮ দিনে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জুলাইর চেয়ে বেশি। আগস্টের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮ হাজার ২০৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি মাসে প্রতি ঘণ্টায় ৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর জুলাইয়ে প্রতি ঘণ্টায় ২৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন।

এদিকে, টানা বর্ষণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাটু মিয়া (৬০) নামের একজন মারা গেছেন।

ঈদে ঘরমুখো কারও শরীরে জ্বরসহ উপসর্গ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা) ২ হাজার ৩২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪২৮ জন হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হন। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নানা দুর্ভোগও।

রোগী নিয়ে স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করছে। দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সেগুনবাগিচা বারডেম হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুর বাবা রাশেদ জানান, জ্বর দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলেকে নেয়া হয়। কিন্তু ডেঙ্গুর আশঙ্কায় তারা ভর্তি করেননি। ওই রাতে ছেলেকে নিয়ে তিনি বারডেমে আসেন। কিন্তু বেড না থাকায় প্রথমে ভর্তি নিতে রাজি হননি চিকিৎসকরা। তবে একজন সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে রিলিজ দিয়ে তার সন্তানকে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ওই রাত ১টার পর কমপক্ষে ১০টি শিশু বেড না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধু বারডেমে নয় রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোরও একই চিত্র। রোগী ভর্তি নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন স্বজনরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ৮৭২ জন।

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৭৬৫ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫ হাজার ১৪০ জন। অন্য বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৫ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে এটি আরও বেশি।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাত থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ আরও বৃষ্টি হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তীব্র গরম ও মুষলধারে বৃষ্টিতে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা মরে যায়। বর্তমানে দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে মশক নিধন কর্মসূচি পরিচালিত হলেও মুষলধারে বৃষ্টিতে লার্ভা ধুয়ে মুছে গেলে মশা কম জন্মাবে। ফলে ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালঃ শয্যা সংকটে মারাত্মক সমস্যার মধ্যে রয়েছেন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীরা। রোগীর ভিড় ও চাপে হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে।

৫০০ শয্যাবিশিষ্ট মুগদা হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর চাপে পা ফেলার জায়গা নেই। হাসপাতালের জরুরি ও শিশু বিভাগেও রোগীর ঠাঁই মিলছে না। রোগীর অতিরিক্ত চাপে এক সপ্তাহ আগে নতুন ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয়। সেখানেও ফাঁকা জায়গা নেই।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের নবম তলার (লিফট-৮) ওয়ার্ডটি ৬০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এটিকে কেন্দ্র করে অন্তত ৩৫০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অষ্টম তলার (লিফট-৭) শিশু ওয়ার্ডটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এখানে দেড় থেকে ২০০ রোগী রয়েছেন।

আর ১১ তলার নতুন করে চালু হওয়া শয্যাবিহীন ডেঙ্গু ইউনিটে অন্তত ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে আসা-যাওয়া চলছে। এখানে কেউ মেঝেতে, কেউ বারান্দায়, কেউবা সিঁড়িসহ টয়লেটের সামনে-পেছনে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে যাওয়া-আসার মধ্যে একযোগে সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছে বলে চিকিৎসক ও নার্সদের অভিমত।

অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। মশারি থেকে বের হওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠছে তারা। এছাড়া মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের অবস্থা বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

নির্দেশনা সত্ত্বেও রোগীরা মশারি টানাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে হাসপাতালেও ডেঙ্গু ছড়ানোর উপক্রম হয়েছে। সব মিলিয়ে মুগদা হাসপাতালে ভয়াবহ সময় পার করছেন চিকিৎসক, নার্স ও রোগীরা।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালঃ প্রতিদিন গড়ে ১২০ জনের মতো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। মঙ্গলবার ১০৩ জন, বুধবার ১৩৮ জন, সর্বশেষ বৃস্পতিবার ১১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফলাফল সঠিক না আসায় চিকিৎসকরা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ডেঙ্গু টেস্ট করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৪৪ জন ভর্তি আছে।

২৪ ঘণ্টায় ১১৮ জন ভর্তি হয়েছে এবং ১৩২ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত এক হাজার ৮৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নির্মল চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ সব টেস্টের সুব্যবস্থা রয়েছে। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। ডেঙ্গু রোগীর জন্য ৩০০ নতুন মশারি কেনা হয়েছে।

ঢাকার বাইরে চিত্রঃ ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশা নিধন এবং এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে সমন্বিত কর্মসূচি শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর নন্দনকাননে অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

একই সঙ্গে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মেয়র জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক কার্যক্রম চালানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্ধের সময়ও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বরগুনা প্রতিনিধি জানান, ২৪ ঘণ্টায় চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নতুন করে ভর্তি হয়েছে। ১২ জুলাই থেকে বুধবার পর্যন্ত ৭৮ জন রোগী ভর্তি হয়।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, ৩০ স্থানে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ অভিযান চালিয়ে তিন স্থানে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে পুরো জেলায় এ অভিযান চালানো যাচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন করে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বেড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছয়জন এবং ফরিদপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৮ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫৩ জন।

কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, কুমিল্লায় ১৭টি উপজেলার ৫৮টি বাস স্টপেজে ডেঙ্গু হেল্প ডেস্ক সেবাকেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধি জানান, জেলা সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। এরই মধ্যে ২৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৮৩ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, পৌর এলাকায় বৃহস্পতিবার ১০টি ফগার মেশিন ও স্প্রে মেশিন দিয়ে একযোগে মশক নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, বৃহস্পতিবার আরও ১০ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে। ঢাকা থেকে আসা ৬২ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৪ রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৩ জন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫৭ জন। এর মধ্যে শিশু ২৯ জন।

নড়াইল প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরিদর্শনকালে অতি জরুরিভাবে শিশু ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের বিকল যন্ত্রপাতি সচলের জন্য কর্তৃপক্ষকে তিনি নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, বিলের কথা চিন্তা করতে হবে না, তার কথা পরে ভাবা যাবে। মানুষের জীবন বাঁচানো আগে, মেশিনগুলো ঠিক করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তঃ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ শয্যার একটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশে ৩২টি মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক প্রচার চালানো হয়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যসব হাসপাতালে ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহযোগিতায় আগামী ১০ আগস্ট দুটি প্রাইভেট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞদের বিশেষ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনা এবং শরীরে তরলের ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here