খবর৭১ঃ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকার আরো চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ১৯ জনকে। এরপর শেষরাতে উদ্ধার হন আরো চারজন। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত কারো স্বজন নিখোঁজ থাকার কথা জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখনও সর্বোচ্চ ছয়-সাতজন নিখোঁজ থাকতে পারেন। আনুমানিক এই সংখ্যাটি মাথায় রেখে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের ফুটানি বাজার ঘাট থেকে যমুনা নদীর অন্তত চার কিলোমিটার দূরে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একজন ইউপি সদস্য জানান, যাত্রীদের সবাই ভিজিএফ চাল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলে জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও উদ্ধারকর্মী এবং স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে উদ্ধার করা হয় আরো চারজনকে। নৌকার বাকি যাত্রীরা এখনও নিখোঁজ।
চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের যমুনা নদীর ফুটানি বাজার ঘাট এলাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফুটানি বাজার ঘাট থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে একই ইউনিয়নের যমুনার পশ্চিম পাড়ের টিনেরচর গ্রামে যাচ্ছিলেন। যাত্রীরা সবাই ওই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আজ বুধবার বিকেলে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফ চাল উত্তোলন করে একই নৌকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। ফুটানি বাজার ঘাট থেকে যুমনা নদী পথে প্রায় সাত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে টিনেরচর গ্রামে যেতে হয়। নদীর মাঝামাঝি ভেড়াখাওয়া মাথা নামক স্থানে নৌকাটি আকস্মিক ডুবে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম জানান, ওই নৌকার মাঝি মো. মনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। মাঝ নদীতে নৌকাডুবির বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে সেখানে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।