খবর৭১ঃ ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই নারী, পুরুষ ও শিশু মরছে। মৃতের সংখ্যা একশ’ ছুঁইছুঁই। গত জানুয়ারি থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানালেও বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ৯৫। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার আরো ৪ জন মারা গেছেন। এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৩৪০ জন। গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ ২৪২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এডিস মশা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ মৃত্যুর মিছিল থামবে না বলে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২২টি হাসপাতাল দিলেও এ বছর সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি সব মিলিয়ে ৪০টি হাসপাতাল ডেঙ্গুর তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে আরো অনেক হাসপাতাল আছে যেগুলো তথ্য দেয় না। ফলে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক তথ্য তারা দিতে পারছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে গতকাল বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩৪০ জন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৭০৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। আর চিকিত্সা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪২৮ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ২৭৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫৩ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৯৯ জন। এর আগে ২০১৮ সালে ১০ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল।
পবিত্র ঈদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ঘরমুখী মানুষের জন্য সরকারিভাবে ডেঙ্গু সম্পর্কে কতিপয় সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় বাসার সব কক্ষের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ করার পাশাপাশি বাসার টয়লেটের কমোড ঢেকে রাখা, বাথরুম-টয়লেটের জানালা বন্ধ করা এবং বালতি, বদনা ও ড্রাম খালি অবস্থায় উলটো করে রাখা। এছাড়া বারান্দায়, ছাদে ফুলের টব বা এমন কোনো পাত্র রাখা যাবে না যেখানে বৃষ্টির পানি জমতে পারে।