খবর৭১ঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়িয়েছে। প্রথমে গুজব ছড়ানো হয় পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে এবং এই গুজবটি ছড়াতে লন্ডন থেকে দেওয়া পোস্টে লেখা ছিল। সরকারি অনুমোদন নিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য এক লক্ষ শিশু বলি দিতে হবে।
আজ বুধবার ‘গুজব শনাক্ত ও সত্য তথ্য প্রচারের মধ্য দিয়ে গুজব নিরসনে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ’ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে নানা বিষয়ের ওপর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রথমে গুজব ছড়ানো হয় পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে। এই গুজবটি ছড়াতে লন্ডন থেকে দেয়া পোস্টে লেখা ছিল সরকারি অনুমোদন নিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য এক লাখ শিশু বলি দিতে হবে।
‘সরকার’ উল্লেখ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই সেই পোস্ট দেয়া হয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি হয় এবং ছেলেধরা আতঙ্কের কারণে অনেক জায়গায় কিছু কিছু দুষ্কৃতকারী আইন হাতে তুলে নিয়ে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেগুলোর ব্যাপারে হত্যা মামলা হয়েছে এবং যারা এই কাজে অংশগ্রহণ করেছে, তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে সেই গুজব নিরসন হওয়ার পরপরই আবার কয়েক দিন আগে আরেকটি গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়, বিদ্যুৎ থাকবে না। বিদ্যুৎ না থাকলে ছেলেধরা আতঙ্ক।
‘সেই গুজবটাও যখন আমরা জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, তখন আরেকটি গুজব ছড়ানো হলো যে বেসিনের মধ্যে হারপিক, ব্লিচিং পাউডার, কেমিক্যাল ঢেলে দিলে ডেঙ্গু মশা নিধন করা সম্ভব হবে। এটিও অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে। সেটি নিরসনেও সরকার সক্ষম হয়েছে। গণমাধ্যমও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এসবের পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে। এটা মহা-অনভিপ্রেত, বিব্রতকর, দুঃখজনক। আনএডিটেড প্ল্যাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সে জন্য আমি গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।
সর্বোপরি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যদি এইভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনো পোস্ট দেয়, সেটির বিরুদ্ধে যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই আমরা সোচ্চার হই। তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই গুজব নিরসন করা সম্ভব হবে, বলেন তিনি।