খবর৭১ঃ
রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একাধীক কথিত প্রভাবশালী নেতাদের মদদে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের শেখ হাসিনা ফোর লেন সড়কের প্রবেশ পথে ও কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে পর্যটক বহনকারী যানবাহন, পন্য বোঝাই ট্রাক, পিক-আপ সহ ইঞ্জিন ভ্যান চালকদের জিম্মি করে পৌর কর ও শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাসড়কে এ বেপরোয়া চাঁদাবাজি রুখতে প্রশাসনের অভিযানে দু’একজন আটক হলেও ঐ চক্রটির প্রভাবশালীরা থানা পুলিশ কিংবা আদালত থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিচ্ছে। এমনকি চাঁদাবাজির বিষয়টি মাসিক আইন শৃংখলা সভায় উঠলেও বন্ধ করা যায়নি চাঁদাবাজি। তারা মহাসড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধে সম্প্রতি গনমাধ্যম কর্মী ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায় খোকন, রনি, রাকিব, হানিফ, রুবেল, আবু সালেহ, স্বপন, মাসুম, রাজা, খোকন, সোহেল ও আলাউদ্দীন সহ ১০/১২ জনের একটি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী প্রতিদিন শেখ হাসিনা ফোর লেন সড়কের প্রবেশ পথ, নতুন বাস ষ্ট্যান্ড, শেখ কামাল ব্রীজ’র প্রবেশ পথ এবং চাকামইয়া ব্রীজ এলাকার মাহাসড়কে তাদের টমটম, ভ্যান থামিয়ে ৭০ টাকা করে জোরপূর্বক আদায় করছে। এছাড়া মাসে তাদের ভ্যান প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করছে। উক্ত চাঁদার টাকা না দিলে তারা ভ্যান চালকদের মারধর করে হ্যান্ডেল নিয়ে যায়। এতে গরীব-অসহায় ভ্যান চালকরা তাদের পরিবার নিয়ে দূর্ভোগে পড়ায় মহাসড়কের উল্লিখিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আকুতি জানান।
এদিকে পন্যবোঝাই পিক আপ ও ট্রাক’র একাধিক ড্রাইভার জানান, ’টাকা না দিলে এরা অশালীন গালাগাল করে।’ পর্যটকবাহী বাস, মাইক্রো থেকে শুরু করে প্রাইভেট কার সহ সব ধরনের যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে এ চাঁদাবাজী চলছে। বর্তমানে এমন চাঁদাবাজিতে সরকারের ভাবমূর্তি ভীষন ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, কোন যানবাহন পৌরসভার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কিংবা ষ্ট্যান্ড ব্যবহার করলে পৌর বিধি অনুযায়ী কর আদায় করা যাবে।এছাড়া কুয়াকাটাগামী বাস-ট্রাক সহ কোন ধরনের যানবাহন থেকে পৌর কর আদায় করা যাবে না। এসব আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: মনিরুল ইসলাম জানান, ’মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’ কলাপাড়া ইউএনও মো: মনিবুর রহমান জানান, ’বিষয়টি আমি অবগত হয়ে দু’দিন অভিযানে নেমেছিলাম। কিন্তু অভিযানের তথ্য কিভাবে যেন ওরা আগাম টের পেয়ে সটকে পড়ছে। যাতে এদের হাতে নাতে ধরা যাচ্ছে না।’ স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান মহিব সাংবাদিকদের জানান, ’চাঁদাবাজ যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।