রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

0
564

খবর৭১ঃ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া এ সঙ্কটের সমাধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুটির টেকসই সমাধানে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই সংকটের সমাধানে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট বেশকিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বৈঠকে।’ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।

বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের মহাসচিবের অংশগ্রহণ, উপস্থিতি ও সম্পৃক্ততার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসকল বিষয়ে জাতিসংঘে যে অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করবে তাতে অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানান।

এদিকে নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেট ডিস্ট্রিক-৩২ এর সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ১৬ জুলাই জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতি তার আগ্রহের কথা তুলে ধরে সিনেটরদের একটি টিম নিয়ে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এ সময় মিশনে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে ও সাক্ষাৎ হয় এই সিনেটরের। স্পিকারও সিনেটরদের এই টিমকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে উঠে আসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন। প্রাকৃতিক তন্তু পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের সুফল এবং এসকল দ্রব্য ও পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে সিনেটরদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জিএসপি’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সিনেটর লুইসকে বলেন, ‘তিনি যেন তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবহার করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন।’ লুইস এ বিষয়টির সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারাকে আরও সম্পৃক্ত করতে সিনেটর লুইসসহ অন্যান্য সিনেটর ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্থ বেল্লোজিনো পার্টি হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন একটি প্রবাসী বাংলা টিভি চ্যানেল ‘বাংলা চ্যানেল’ এর সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কমিউনিটির এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল মিজ্ সাদিয়া ফয়জুন্নেছা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here