ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ী ঢলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে ৩টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন, শত শত মানুষ পানি বন্দি

0
540

শেরপুর, আবু হানিফ :
অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নি¤œ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ৩ দিন ধরে অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির তোরে মহারশী নদীর দীঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে ৩টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকদের বীজ তলা। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোচনীপাড়া-বাগের ভিটা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। পাহাড়ী ঢলের পানিতে ছুড়িহারা, দিঘিরপাড়, চতল, রামনগর, কালিনগর, দরিকালিনগর,বালুরচর, দারিয়ারপাড়, দেবোত্তরপাড়া, জুলগাঁও ,হাসলিগাঁও,বাণিয়াপাড়া, রাঙামাটি, হাতিবান্ধা, লয়খা, কামার পাড়া,মাগলার মুখসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে বীজতলা। সোমেশ্বরী নদীর পানিতে বাগের ভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কান্দলী, কোচনীপাড়া,মাঝাপাড়া মহারশী নদীর পানির তোরে দিঘিরপাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে ৪ টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ সদর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান মহারশী নদীর দিঘিরপাড় বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ এলাকা পরিদর্শন করেন। নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ৩ পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, ৬শ ৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৫ হেক্টর জমির বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সিরাজুস সালেহীন জানান, পানিতে তলিয়ে কি পরিমাণ মাছের ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here