খবর৭১ঃ বাংলাদেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। এই দেশে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করা হবে না। দেশের উৎপাদিত লবণ দিয়েই চাহিদা পূরণ করা হবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং আয়োডিন ঘাটতি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার প্রান্তিক চাষীদের কথা মাথায় রেখে লবণ নীতিমালা প্রনয়ন করবে চলতি বছর সরকারের সহায়তা ও লবণ চাষীদের পরিশ্রমের ফলে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ অর্থবছরে লবণের চাহিদা ছিল ১৬ দশমিক ৫৭ লক্ষ মেট্রিক টন। ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে মাঠে নেমে মৌসুম শেষে উৎপাদন হয়েছে ১৮ দশমিক ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন। চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হওয়ায় বর্তমানে দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় (কোরবানির ঈদে) চামড়া শিল্পে লবণ ব্যবহারের পরও সারা বছর উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই দেশে লবণ আমদানির প্রশ্নই উঠে না। লবণ আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। উল্টো বাংলাদেশ থেকে লবণ রফতানির সময় এসেছে।
বিসিকের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোশতাক হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, ইউনিসেফ বাংলাদেশের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পিয়ালী মুস্তাফী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকের পরিচালক (সিআইডিডি প্রকল্প) মো. আতাউর রহমান সিদ্দিকী। এছাড়া কর্মশালায় বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের নিউট্রিশন অফিসার ডা. আইরিন আখতার চৌধুরী।