খবর৭১ঃ
স্কুলে প্রেম রুখতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের হবিবপুর ব্লকের এক স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে বিতর্ক শুরু হয়েছে ওই এলাকায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছাত্রছাত্রীদের কিছু ‘আচরণে’র জেরেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন, আচরণ যেমনই হোক না কেন, এমন সিদ্ধান্ত কি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতে পারেন? একই প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার বিশিষ্টেরাও। জেলা স্কুল পরিদর্শকও জানান, তিনি বিষয়টি খোঁজ নেবেন।
জানা যায়, স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এটি শুধু ছাত্রদের স্কুল। তবে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীরাও পড়ে। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ওই একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০১। তার মধ্যে ছাত্রী ৪০। দ্বাদশ শ্রেণিতে ২২৬ জন পড়ুয়ার মধ্যে ছাত্রী ৩৫।
স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, এই দুই ক্লাসে কাগজের টুকরো দেওয়া-নেওয়া চলছে বিস্তর। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘নিষেধ করলে ক্লাসের মধ্যে বিড়াল-কুকুরের ডাক ডাকে। এর প্রভাব নিচু ক্লাসের ছাত্রদের উপরেও পড়ছে।’ এরপরই অগত্যা ছাত্রছাত্রীদের আলাদা দিনে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে স্কুল।
ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পাণ্ডে বলেন, পরীক্ষামূলক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের সপ্তাহে আলাদা দিনে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর আচরণের জন্যই এই ব্যবস্থা। ওই ছাত্রীদের বড় অংশ জানিয়েছে, কিছু ছাত্র স্কুলের মধ্যে উত্যক্ত করত। স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।
মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, স্কুলে যা-ই ঘটুক, কো-এড ব্যবস্থায় ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা করা যায় না।