খবর ৭১ঃ
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ১৬ আসামি এবং বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানসহ দুই সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আজ রবিবার নুসরাতের ভাই মামলার বাদী নোমানকে আসামি পক্ষের সাত আইনজীবীর জেরার পর নুসরাতের বান্ধবী নিশাত ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফুর্তির সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের ছয়দিনের মাথায় ৯২জন সাক্ষীর মধ্যে তিনজন সাক্ষীকে আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উপস্থাপন করেন। সাক্ষ্য শেষ না হওয়া সেদিন আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনফেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাঁরা হলেন- সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন।