খবর৭১ঃ পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেতুর আরও একটি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসেছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ৩সি বসানো হয়। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ সেতুর এক-তৃতীয়াংশ দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি পদ্মা সেতুর চতুর্দশ স্প্যান। এই স্প্যানসহ পদ্মা সেতুতে স্থায়ীভাবে মোট ১২টি ও অস্থায়ীভাবে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। সে হিসেবে ৩সি স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো দ্বাদশ স্প্যান।
সকাল ১১টায় সেতুর অদূরে নদীতে নোঙ্গর করে রাখা স্প্যান বাহী ক্রেনটি পিলারে কাছে রওনা হয়। ১২টায় ক্রেনটি ১৫-১৬নং পিলারে সমানে পৌঁছে। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। বেলা দুইটায় অ্যাংকারিং সম্পূর্ণ হলে পিলারের উপর স্প্যান উঠানোর কাজ শুরু করা হয়। প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পিলাররে উপর বসানো হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটির কাজ শেষ হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে।
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। ওপর দিয়ে চলবে গাড়ি, নিচ দিয়ে ট্রেন। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।