শেরপুরে পুলিশে লোক নিয়োগে চলছে প্রচারণা, কাউকে প্রতারিত না হওয়ার আহ্বান পুলিশ সুপারের

0
902

শেরপুর থেকে আবু হানিফ :
শেরপুরের আগামী ৩ জুলাই পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হবে। এ নিয়োগে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম কোন প্রকার ঘুষ ছাড়াই যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ জন্য কোন দালালচক্রকে ঘোষ না দেয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করতে একযোগে কাজ করছে সারা জেলার পুলিশ বিভাগের লোকজন। এ জন্য প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আমিনুল ইসলাম, এএসপি (সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমানসহ সকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সকল এসআই ও এএসআইগণ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালান এবং হ্যান্ডবিল বিলি করে আসছেন। ২৮ জুন শুক্রবার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম শেরপুর সদর উপজেলার গাজীর খামার বাজার মসজিদে নামাজ আদায় করে এবং মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা মদ, জুয়া বাল্য বিয়ে ও যৌতুকসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করছি। এ জন্য সবাইকে পুলিশের কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী ৩ জুলাই পুলিশের কিছু কনসটেবল নিয়োগ করা হবে। এখানে কোন দালালদের খপ্পরে পড়ে কেউ প্রতারিত হবেন না। কারণ এবার আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করবো। পরে তিনি মুসল্লিদের হাতে হাতে এ সংক্রান্ত হ্যান্ডবিল বিলি করেন। নামাজশেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা এবার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। সব ধরনের বাধা ওপেক্ষা করে আমরা স্বচ্ছতার সাথে লোক বাছাই করবো। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদেরও সহায়তা কামনা করেন।
পরে বিকেল নাগাদ তিনি শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লোকজনরে মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুর রহমান, শেরপুর প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, বিটিভির জেলা সংবাদদাতা দেবাশীষ ভট্যাচার্য প্রমুখ।
উল্লেখ্য প্রতিবছরই একশ্রেণীর লোকজনের মাধ্যমে পুলিশে লোক নিয়োগের নামে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে খরচ থাকতো লোকজন। অনেকেই প্রতারিতও হতো। আর এ ট্রেডিশন বন্ধ করতে মাঠে নেমেছ শেরপুর পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here