মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল

0
566

খবর ৭১ঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের নুন্যতম বয়স নির্ধারনে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে যে আবেদন করা হয় সেটাকে নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের নুন্যতম বয়স নির্ধারনে হাইকোর্টের আগের রায় বহাল থাকবে।

রোববার রাস্ট্রপক্ষের একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও এবিএম আলতাফ হোসেন।

আইনজীবী ওমর সাদাত সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। রাস্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ নো-অর্ডার আদেশ জারি করেন। যার ফলে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস এবং ১৩ বছর নির্ধারণ নিয়ে করা পৃথক ১৫টি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৯ মে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ওই রায়ের ফলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮-এর সংজ্ঞা সংক্রান্ত ২ ধারার ১১ উপধারা অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

রায় পাওয়ার সর্বোচ্চ ৬০ দিনের ভিতরে মুক্তিযোদ্ধদের সম্মানী পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই রায় স্থগিত করে রাস্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১৯ জুন রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে শুনানির জন্য ২৩ জুন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। রোববার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আদেশ অনুসারে শুনানির জন্য ওঠে।

২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে গেজেট জারি করা হয়। উক্ত গেজেটে বোলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।’ ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি গেজেট সংশোধনীতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস। গেজেট দুটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে পৃথক পৃথক ভাবে রিট করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here