খবর৭১ঃ
সঞ্চালন লাইনের ফুটো থেকে গ্যাস জমছে স্যুয়ারেজ লাইনে। ড্রেনেজ এবং গ্যাস লাইনের অনিয়মিত ব্যবস্থাপনার কারণে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাজধানীর স্যুয়ারেজ লাইন। সম্প্রতি রাজধানীতে পরপর দুটি স্থানে স্যুয়ারেজ লাইনে জমানো গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন নিহত হন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কদমতলীর শনিরআখড়ায় ও শ্যামপুরে পৃথক বিস্ফোরণে ফরিদ আহমেদ এবং আবির হোসেন মিরাজ নামে দুজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৫ জন। কদমতলীতে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, ডেসা ও পুলিশ। অনুসন্ধানে ধারণা করা হয়, তিতাস গ্যাসের সাপ্লাই লাইনের লিকেজ থেকে নিঃসরিত গ্যাস স্যুয়ারেজ লাইন দিয়ে এক্সিম ব্যাংকের বাথরুম স্টোর রুমে জমা হয়। এরপর এসি ও জেনারেটরের শর্টসার্কিট থেকে প্রচ বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে এক ধরনের শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বাসিন্দাদের মনে।
১০ ও ১১ জুন শনিরআখড়া এবং মিরহাজিরবাগে বিস্ফোরণের ঘটনায় কদমতলী থানা ও শ্যামপুর থানা পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের ওয়ারী বিভাগে জমা দেয়। এরপর ১৩ জুন ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আরেকটি প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে তিতাস গ্যাসের লিকেজ এবং এক্সিম ব্যাংকের স্যুয়ারেজ লাইনের সঙ্গে সংযোগ পাওয়া যায়। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ দল মেশিনের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংকের বাথরুমে ৬০ ভাগ গ্যাসের উপস্থিতি পায়, যা পরে মেরামত করা হয়। আর শ্যামপুরের পাইপ রোডে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান করে জানা যায়, সেখানেও তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজ পাওয়া গেছে। সেই লিকেজ থেকে নিঃসরিত গ্যাস ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ স্যুয়ারেজ লাইনে জমা ছিল। ওই স্যুয়ারেজ লাইনে আগে থেকে সৃষ্ট বায়োগ্যাস মজুদ ছিল।