খবর ৭১ঃ সিনেমায় একটা ‘আইটেম’ গান চাই-ই চাই। বলিউডে এ যেন এক অঘোষিত রীতি। সিনেমার সঙ্গে সেই গানের খুব একটা সংগতি না থাকলেও চলে। উদ্দেশ্য, নায়িকা বা আইটেম গার্লকে লাস্যময়ী করে উপস্থাপন করে ওই গান দিয়ে সিনেমার কাটতি বাড়ানো। আইটেম গান নিয়ে তাই একটু অস্বস্তিও আছে। তবে উঠতি বলিউড তারকা কৃতি শ্যানন মনে করেন, এ নিয়ে অস্বস্তির কিছু নেই। এমনকি একে তিনি আইটেম বলতেও নারাজ।
দর্শকদের বিনোদন জোগাতে ছবিতে গান থাকতেই পারে। সেসব গানের থাকতে পারে রকমফের। এগুলোকে আইটেম কেন বলতে হবে? কৃতির কাছে এই তকমা আপত্তিকর। তিনি বলেন, ‘আইটেম আবার কী! এই গানকে কেন আইটেম নাম্বার বলতে হবে বুঝি না। শব্দটা ব্যবহার করে একে একটু নেতিবাচক করে তোলা হয়। এগুলো তো একেবারেই নাচনির্ভর পরিবেশনা। দর্শকের আনন্দ আরও একটু বাড়িয়ে দিতে এগুলো রাখা হয়। দর্শকেরা এসব পছন্দও করেন। এসব গানের সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদের নেতিবাচক চোখে দেখা হবে কেন? এই গানের শিল্পীদের সম্মান করা হবে না কেন?’
এবার আসা যাক আসল কথায়। সম্প্রতি দুটি আইটেম গানে অংশ নিয়েছেন কৃতি শ্যানন। একটি ‘স্ত্রী’ ছবিতে, আরেকটি ‘কলঙ্ক’ ছবিতে। দুটি গানই লুফে নিয়েছেন দর্শকেরা। ফলে কৃতির কণ্ঠ এখন চড়া। চড়া সুরেই তিনি বলেছেন, ‘আমির (আমির খান) স্যার, শাহরুখ (শাহরুখ খান) স্যার, সালমান (সালমান খান) স্যার যখন এ রকম ধুন্ধুমার নাচের কোনো গানে অংশ নেন, সেগুলোকে আইটেম গান বলা হয় না। একজন নারী থাকলেই সেটা আইটেম হয়ে যাবে? এটা কি লিঙ্গবৈষম্য নয়? এই মানসিকতা বাদ দিতে হবে।’
প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্রী কৃতির মনটা সৃজনশীল। তাই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মডেলিং ও অভিনয়। নাচ তাঁর বিশেষ আগ্রহের জায়গা। এরপর কৃতিকে দেখা যাবে পানিপথ, অর্জুন পাতিয়ালা ও হাউসফুল ফোর ছবিগুলোতে।