সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, খবর ৭১ঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে চলছে বিজয়ের হিসাব নিকাশ। সারা দেশের ন্যায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ১৮জুন নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃ ইউসুফ আল আজাদকে ঘিরে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৭বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নৌকার মার্কায় প্রার্থী এবারও বিজয়ের পথে রয়েছে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এমনি আভাস পাওয়া গেছে ভোটারদের কাছ থেকে। অন্যদিকে হেবিয়েট প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম তিনিও রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়।
ভোটারগন বলছেন,বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কায় আস্থা রাখতে চান। এছাড়া দীর্ঘদিন সরকারের দলের বাইরের প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রত্যন্ত জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। হাওর অধ্যূষিত এ উপজেলায় নৌকা মার্কায় প্রার্থীর মোঃ ইউসুফ আল আজাদ নির্বাচিত হলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে মনে করেন ভোটাররা। প্রতিটি গ্রামে নৌকা প্রতিকের ভোট ব্যাংক রয়েছে। এবং সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তাদের ভাবনা গ্রামকে শহরে পরিণত করতে হলে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। এপথ ধরেই হাঁটছেন ভোটাররা। এছাড়া প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ আল আজাদ একজন সাদামাটা মনের মানুষ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারনায় সাপ্তাহ খানেক ধরে যুক্ত হয়েছেন,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমাবায় বিষয়ক সম্পাদক করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,জেলা আ,লীগের সদস্য ও বাদাঘাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও অধ্যাক্ষ জাবের আহমেদ জাবেদ,জুমুর কৃষ্ণ তালুকদার,তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল বাসার প্রমুখ।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমাবায় বিষয়ক সম্পাদক করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সাহেব এই উপজেলাবাসীর উন্নয়নের জন্য জন্য প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১০সালে তাহিরপুর উপজেলায় এসেছিলেন তিনি তখন এই জেলাবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্থাবায়ন করছেন এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মাধ্যমে। ভোটারদের সাথে কথা বলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাদের বলেছি আপনাদের সবার মাঝে দেশ প্রেম বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানেন আপনারা হাওরাঞ্চলের মানুষ কত কষ্ট করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। উন্নয়ন হয়েছে আরো হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হলে উন্নয়নের ধারাবিহিকতা বজায় থাকবে। নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ জোর গলায় বলতে পারবে আমি নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছি। আমার এলাকার জন্য আপনাকে সহায়তা করতেই হবে। ভোটারগন আমার কথা সমর্থন করেছেন। তাই নৌকার বিজয় হবেই।
বেহেলী গ্রামের আরজ,আলী,আতিকুর,মোনাজ্জির,আলমগীর বলেন,উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবেন,পিছিয়ে পড়া উপজেলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করবেন তাকেই আমরা ভোট দিব। যোগ্য প্রার্থীকেই এবার আমরা নির্বাচনে নির্বাচিত করব।
ভোটার কয়েছ,নুর মিয়াসহ অনেকেই বলেন,হাওর বেষ্টিত জনপদের যোগাযোগ ব্যববস্থা,শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত যিনি করতে পারবেন তাকেই ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করবেন তারা। জামালগঞ্জ একটি অবহেলিত এলাকা এখানকার নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এবং উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। সরকার দলের প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদ বিজয়ী হলে উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে পারবেন তিনি। ইতিমধ্যে তার পক্ষে গ্রামে গ্রামে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশাবাদী বিশাল ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হবেন।
উল্লেখ্য,সুনামগঞ্জের চির অবহেলিত জনপদ জামালগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের সঙ্গে মাত্র ২টির উপজেলা সদরে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন,ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা পদে ১৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। গেল নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০মাচ জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ ও স্বতন্ত্র হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী রশীদ আহমদ। জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ লাখ ১২ হাজার ৭২২জন ভোটার ৪৬টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৫৬হাজার ৪২৬জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৫৬হাজার ২৬০ জন। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহনের জন্য ৪৬জন প্রিসাইডিং অফিসার,২৮৭জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৫৭৪ জন পোলিং অফিসার নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।