আবু হানিফ, শেরপুর প্রতিনিধি, খবর ৭১:
শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ডলি নামের এক অন্তঃসত্বা মহিলাকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন এবং গর্ভপাতের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহার আদেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত জেলা পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম আজ সকালে প্রত্যাহারের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বলেন যেহেতু ১৮ জুন নকলা উপজেলা নির্বাচন সেহেতু নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তাকে নকলা থানা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। এর আগে গতকাল একই অভিযোগে ওই থানার এসআই মোঃ ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর রূপালী বেগমের নির্দেশে চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ডলিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তার ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রীসহ ১০/১২জন। এতে ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তানও নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এঘটনার পর পুলিশ নির্যাতিত নারী ডলিকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনার এক মাসপর ১০জুন রাতে নির্যাতনের খন্ডিত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের পর নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জুন বুধবার ৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এক নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয় এবং আজ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হলো।