খবর৭১ঃ গণমাধ্যম মালিকরা কে কত টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না, সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সংবাদ তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয়ে খোঁজ নিলেই কেন খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সেটি বোঝা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। এই সংবাদ সম্মেলন এমনিতে করার কথা অর্থমন্ত্রীর। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের বাজেটে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আর বিপাকে পড়া খেলাপিদের উত্তরণের কথা বলা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপনের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনেও এই কথাটি তুলে ধরেছেন।
দৈনিক সমকালের একজন সাংবাদিক বলেন, ‘আপনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় খেলাপি ঋণ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো ছিল। সর্বশেষ মার্চ মাসে তা বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ কেন বাড়ছে?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দয়া করে একটু খবর নেবেন, আপনাদের মিডিয়ার মালিকেরা কে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন। ঋণগুলো তারা শোধ দিয়েছেন কিনা। মালিকদের ঋণের হিসাব নিলে আমাকে আর এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হবে না।’
‘আপনাদের মিডিয়ার মালিকদের বলেন, ঋণ শোধ দিতে, তাহলে আর খেলাপি ঋণ থাকবে না।…মিডিয়ার মালিকদের ঋণের হিসাব নেওয়া হবে। তাদের অনুরোধ জানাবো, ঋণের টাকা শোধ দিয়ে তারপর যেন এ ব্যাপারে লেখেন।’
প্রকৃত খেলাপি ঋণ যত বলা হচ্ছে তত না বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তার ব্যাখ্যা, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ মিলিয়ে খেলাপির পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুদের হার অত্যন্ত বেশি। এছাড়া চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়। যখন হিসাব করা হয়, তখন চক্রবৃদ্ধি সুদের হারসহ হিসাব করা হয়। যার ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা অনেক বড় দেখায়। প্রকৃত ঋণটা যদি ধরা হয়, তাহলে দেখা যাবে অত বড় না।