খবর ৭১ঃঃ
আগামী ১১ বছরে তিন কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টির লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর এতে দেশে বেকারত্বের অবসান ঘটাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই লক্ষ্যের কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে জনমিতিক লভ্যাংশের যে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে হবে। তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি -এ স্লোাগানকে সামনে রেখে দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমূখী শক্তিতে রূপান্তরের জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
দেশে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যুবকদের মধ্যে সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগ (স্টার্ট আপ) সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে।’
মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে ১০টি আইন-বিধি, নীতি-কৌশল প্রণয়ন অথবা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই বছরে অবশিষ্ট সংস্কার কাজ সম্পাদন করে ক্রমবর্ধমান জনশক্তির জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চাকরির সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি যুবকদেরকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করতে চান মন্ত্রী। এজন্য সারাদেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।
যুবকদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টিতে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এক দিকে শ্রমবাজারে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তির আগমন, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়টি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে এবং এর সমাধানে নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকার শিল্পখাতে কর্মসৃজনের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ উপযোগি আইন-বিধি, নীতি-কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে।’