খবর৭১ঃ এবার ঈদযাত্রায় ৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ৩০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ঈদের সময় সড়ক ও নৌপথে পরিবহন ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক ভালো ছিল। প্রায় সব মহাসড়ক বড় ধরনের যানজটমুক্ত ছিল। ঘরমুখী মানুষজনকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকায় পর্যাপ্ত লঞ্চ ছিল।
তবে ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা এ খাত থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস ও লঞ্চের মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে পারেনি বলে জানায় নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
তারা জানান, ৩০ মে সাতটি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও আটজন আহত এবং ৩১ মে ছয়টি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হন।
১ জুন ১০ নিহত ও ৩১ জন আহত হন ১১টি দুর্ঘটনায়। ১৫ দুর্ঘটনায় ২ জুন ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩ জুন সাত দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ নিহত ও ১৪ জন আহত হন।
ঈদের আগের দিন ৪ জুন ছয় দুর্ঘটনায় ১৬ ও ৬২ জন যথাক্রমে নিহত ও আহত হন। ঈদের দিন ৫ জুন ২৬ নিহত ও ৭৮ জন আহত হন ১৬ দুর্ঘটনায়। ঈদের পর দিন ৬ জুন আটটি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩ জন।
৭ জুন ১১ নিহত এবং ১৮ জন আহত হন ছয় দুর্ঘটনায়। সাত দুর্ঘটনায় ৮ জুন আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হন। আর ৯ জুন ছয় দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে পাঁচ ও ২৪ জন।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার জন্য তারা ছয়টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন।
কারণগুলো হলো- বিভিন্ন ফেরিঘাট ও টোল স্টেশনে ব্যয় হওয়া সময় পুষিয়ে নিতে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতা, নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের তাগিদের কারণে চালকের অন্য মনস্কতা, অতিরিক্ত ট্রিপ দেয়ার কারণে চালকদের শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা, ওভারটেকিংয়ের সময় ট্রাফিক আইন অনুসরণ না করা এবং আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।