মুশফিকের থ্রোতে ভাঙল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটি

0
333

খবর৭১ঃব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত মুশফিকুর রহিম। তার থ্রোতে ভেঙেযায় দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট।

৩৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণআফ্রিকা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিকান ওপেনার। তার আগে ৩২ বলে ২৩ রান করেন ডি কক।

 

মুশফিক-সাকিবের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩০ রানের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যেকোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান।

এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।

রোববার ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

সাকিব-মুশফিক জুটি বাংলাদেশের অনেক বিপদে কার্যকর জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন।

দলীয় ৭৫ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর টাইগার শিবিরে যে শংকা তৈরি হয়েছিল তা ভুল প্রমাণিত করেন সাকিব-মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর এক প্রকার তাণ্ডব চালান। তাদের অনবদ্য ১৪২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তার ৭৮ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। সাকিব করেন ৭৫ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৪৬ ও সৌম্য সরকারের ৪২ রান টাইগারদের বিশাল সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল।

হাতের চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম।

কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।

এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।

উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিনত হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন করেন সৌম্য।

৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৪১ বলে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআই ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

এদিকে আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। ফিফটির পর তিনিও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৩ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৈকত। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (মুশফিক ৭৮, সাকিব ৭৫, মাহমুদউল্লাহ ৪৬* সৌম্য ৪২, মোসাদ্দেক ২৬, মিঠুন ২১, তামিম ১৬, মিরাজ ৫*)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here