খবর৭১:অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ট্রেনের ‘সিডিউল লণ্ডভণ্ড’ হওয়ায় রেলপথের যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ সংগঠনটির। গত কয়েকদিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার (১ জুন) সকালে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
এতে বলা হয়, সড়কপথে হাতেগোনা কয়েকটি রুট ছাড়া প্রায় সবকটি রুটে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। নৌ-পথে লঞ্চের কর্মচারীরা ডেকে চাদর বিছিয়ে রেখে ডেক শ্রেণির যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার টিকিটেও বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটগুলোতে নিয়োজিত ইজারাদাররা ঘাট ইজারার নামে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায়ের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ থাকার পরও যাত্রীরা এমন নৈরাজ্য থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।
সংগঠনটি আরও দাবি করে, ‘রেলপথে বেশিরভাগ ট্রেনের সিডিউল লণ্ডভণ্ড থাকায় যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে স্টেশনে এসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আকাশপথে কোনও কোনও রুটে ঈদযাত্রার টিকিট ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সড়ক, নৌ ও রেলপথে বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা থাকলেও আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বা অন্য কোনও সংস্থার তৎপরতা দেখা যায়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, এমন ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। এতে দূর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়বে। গণপরিবহন সংকটের কারণে ও কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় নিম্নআয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো থাকায় বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে। বেশ কটি নৌরুটে ড্রেজিং করায় নৌ পথেও এর সুফল মিলেছে। এমন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি মেনে নেওয়া যায় না বলে বিবৃতিতে দাবি করেন তিনি।