শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন মমতা

0
550

খবর৭১:ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমুল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার টুইট করে মমতা নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৫০ বিজেপি কর্মীর পরিবারকে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জেরেই যে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন, টুইটে তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। একে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে তারা।

গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপি দাবি করেছিল বেশ কয়েকজন কর্মীকে হত্যাকরেছে তৃণমূল। একইভাবে গত এক বছরে বিজেপি কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে বারবার এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫০-এরও বেশি বিজেপি কর্মী ও সমর্থককে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল শপথ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত থাকছেন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হওয়া ৫৪ জনের পরিবারের সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।

এর একদিন পর বুধবার (২৯ মে) মমতা টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না। ৫০ জনেরও বেশি কর্মী পশ্চিমবঙ্গে খুন হয়েছেন বলে যে অভিযোগ বিজেপি করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে নিজের টুইটে দাবি করেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন। আমি সাংবিধানিক আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকব ভেবেছিলাম। কিন্তু এক ঘণ্টায় সংবাদ মাধ্যমে দেখছি বিজেপি বলছে বাংলায় তাদের ৫৪ জন কর্মীকে খুন করেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলায় কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি।’ পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি দাবি করে তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক কলহ বা অন্য কোনও বিবাদের কারণে এই সব মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে।

‘সুতরাং, আমি দুঃখিত, নরেন্দ্র মোদিজি, এটা আমাকে বাধ্য করল অনুষ্ঠানে না যেতে।’ টুইটারে লিখেছেন মমতা।

মমতার এই অভিযোগকে অস্বীকার করে নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি জানিয়েছে, ‘নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে যারা রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হয়েছিলেন, তাদের পরিবারগুলো ২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের মতো একটি অনুষ্ঠানকে নিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, তার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here