খবর৭১ঃরাশিয়া থেকে এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার হুমকি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর ইয়েনি শাফাকের।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের এমন হুমকি ও এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোথায় বসানো হবে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে সভাপতিত্ত্ব করেছে এরদোগান।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভাটি রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মঙ্গলবারে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ক্লো’ নিয়েও আলোচনা করা হয়। এতে উত্তর ইরাক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আঙ্কারায় আসন্ন নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয় এবং এটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাধা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে তুরস্ক রাশিয়া থেকে এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ের চুক্তি করে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
সম্প্রতি কয়েক মাসে আঙ্কারা রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি গ্রহণ করতে থাকে। এ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগামী জুলাই মাসে রাশিয়ার থেকে গ্রহণ করবে তুরস্ক।
তবে রাশিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে রয়েছে তুরস্ক। তবে তুরস্ক বলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটিতে নিরাপত্তা হিসেবে গ্রহণ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্ককে পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ন্যাটো পদ্ধতির পরিপন্থী এবং পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি।
তবে তুরস্ক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় মস্কো তাদের প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দূরপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যেটি তার লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে ব্যালিস্টিক ও ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে।