খবর৭১ঃএ মাসে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব। পেটের মেদ বা চর্বি অর্থাৎ ভুঁড়ি কমাতে এক মাসের ডায়েট যথষ্ঠে।
সারা দিন না খেয়ে থাকার পর ইফতার ও সেহরিতে অনেক বেশি খাবার খাওয়া একেবারে উচিত নয়। এর ফলে ঝিমুনি ও ক্লান্তিবোধ হয়। এছাড়া পেটের বিভিন্ন ব্যাধি যেমন বদহজম, আমাশয়, ডায়রিরা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। দ্রুত খাবার খেলে অর্থাৎ চিবিয়ে না খেলে খাবার হজমে সমস্যা হয়।
সেহরি
সেহরি খাওয়ার পরই ঘুমোতে যাওয়া ঠিক নয়। খেয়ে ঘুমোতে গেলে পেট থেকে এসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে পেট থেকে বুকে জ্বালাপোড়া করে ও মুখে টক ঢেকুর উঠে।
ভাজাপোড়া
ভাজাপোড়া খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। ভাজাপোড়া খাবারের অতিরিক্ত তেল আমাদের লিভার প্রসেস করতে পারে না। ফলে লিভারে ফ্যাট আকারে জমা থাকে।
একে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে। ফলে রোজা থাকলেও আমাদের ওজন বেড়ে যায়। তেল ও চর্বির কারণে এসিডিটির সমস্যা বাড়ে। সারা দিন রোজা রাখার ফলে ডাইজেস্টিড সিস্টেম কিছুটা দুর্বল থাকে।
এসিডিটি ও পানিস্বল্পতা
রোজায় ক্যাফেইনজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে এসিডিটি ও পানিস্বল্পতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গ্রিন টি
ইফতারের দুই ঘণ্টা পর ডিকার্বোনেটেড পানীয় বা গ্রিন টি খেতে পারেন। অতিরিক্ত পানি খেলে বারবার প্রস্রাব হওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
গরমের দিনে দীর্ঘসময় রোজা রাখলে ডিহাইড্রেশনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন
দুই থেকে তিন লিটার পানি পানে অভ্যস্ত হন। নিজেকে এ সময় অ্যাকটিভ থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ দিন রোজা রেখে অ্যাকটিভ বা কর্মব্যস্ত না থাকলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
ইফতারের পর ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন কিংবা তারাবির নামাজ আদায় করলেও দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব হবে। বছরে অন্যান্য সময়ের মতো এ মাসেও সাধারণত ক্যালরি গ্রহণের চাহিদা একই থাকে। সুষম খাবার গ্রহণ করলে এ সময়েও ক্লান্তি অনুভব করবেন না।