খবর ৭১: আমের উপরের অংশ কাঁচা। আবার কাটলেই দেখা যায় হলুদ রঙ ধারণ করেছে। যে কেউ প্রথম দেখাতেই মনে করতে পারেন পাকা আম। আসলে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো এ আমের আঁটিও কাঁচা। আমের স্বাদও কাঁচা আমের মতোই। রাসায়নিকে পাকানো এ আম আড়তে মজুদ রেখে বিক্রি করছেন অসাদু ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর দিয়াবাড়ি আমের আড়তে অভিযান চালায় র্যাব-৪ ব্যাটালিয়ন। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, গুটি আম গাছ থেকে পাড়া শুরু হয় ১৫ মে থেকে। সে হিসাবে গুটি আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ল্যাংড়া আমের প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ৬ জুন পর্যন্ত। আর মিষ্টি আম আম্রপালি ও ফজলি পাড়া শুরু হবে ১৬ জুন ও সর্বশেষ আশ্বিনা ১৭ জুলাই থেকে।
কিন্তু অসাদু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব ল্যাংড়া আম নির্ধারিত সময়ের আগেই পেড়ে রাসায়নিকে পাকিয়ে বাজারজাত করছেন। কেমিক্যালে পাকানো আম মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম বলেন, অভিযানে মোট ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার কেজি ল্যাংড়াসহ অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয়েছে। জব্দ আমের উপরে কাঁচা কিন্তু ভেতরে পাকা। অথচ আঁটি নরম। এর কারণ আমে রাসায়নিকের প্রভাব। বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে কাঁচা আম পাকানো হয়েছে। এটা ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন। একে তো ভোক্তাকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, পাশাপাশি সঠিক পুষ্টিগুণও মিলছে না ক্রয়কৃত আমে। এ জন্য আমরা ৬টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। আগামীতেও ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।