খবর ৭১: ঈদযাত্রা আরামদায়ক না হলেও স্বস্তির যেন হয়, এজন্য সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। গত ঈদের মতো সড়কের পরিস্থিতি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী বিআরটিএ ভবনে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক পরিবহন আইন যেটি সংসদে পাস হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বসে যুক্তিযুক্ত সমাধান করা হবে। আইনমন্ত্রী এটা বিশেষ করে দেখবেন। আইনানুগভাবে সড়ক পরিবহন বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি বাস মালিক ও গাড়ি চালকদের অনুরোধ করবো, সড়কে গাড়ি যেন নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলে। নিরাপদ সড়ক করতে মালিকরাও বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যেন মানুষ ভোগান্তির শিকার না হয়, এটা খেয়াল রাখতে হবে।
আন্তঃজেলায় নিয়ম-কানুন মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ এলেই লক্কর-ঝক্কর গাড়ি নামানো হয়, এটা যেন করা না হয়।
গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও এলেঙ্গা ফ্লাইওভার ২৫ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই ফ্লাইওভার ও চার আন্ডারপাস চালু হওয়ায় এবারে উত্তরের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।
নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই মেঘনা ও গোমতি সেতুর কাজ সম্পন্ন করায় জাপানি কোম্পানির সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন করা একটি বিরল ঘটনা। ফলে রাষ্ট্রের সাশ্রয় হয়েছে ৭২০ কোটি টাকা। এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে কিভাবে সড়ক নিরাপদ করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।