ছাত্রলীগের হামলায় ফের ক্ষত-বিক্ষত সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস

0
576

এমজেএইচ জামিল সিলেট :
সহিংসতা ও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত না শুকাতেই শত বর্ষের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ফের হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। আভ্যন্তরীন কোন্দলে জেরে হামলায় ছাত্রাবাসের ৪ ও ৫ নং এবং শ্রীকান্ত ব্লকে ভাংচুর করা হয়। এতে ক্ষত-বিক্ষত হয় ছাত্রাবাস। হামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতেদর খুজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার হোষ্টেলে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের টিটু চৌধুরীর গ্রুপ ও সঞ্জয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রেক্ষিতে রাতে সঞ্জয় গ্রুপের কর্মীরা টিটু চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টিটু গ্রুপের অনুসারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, রড, দা, হকিস্টিকসহ ছাত্রাবাসের ৪ ও ৫ নং ব্লক ও শ্রীকান্ত ব্লকে সঞ্জয় অনুসারীদের উপর হামলা চালালে দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়ে যায়। এতে তিনটি ব্লকের ৩৯টি কক্ষে ও দরজা-জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়। এসময় ছাত্রাবাসের সাধারণ ছাত্ররা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আখতার হোসেন জানান, ছাত্রলীগের বিবদমান দুগ্রুপের আধিপত্যের জেল ধরে ছাত্রাবাসে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এমসি কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কলেজে জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েয়েন কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত ছাত্রদের গতকাল সন্ধা ৬ টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। হামলার ঘটনায় তদন্তের জন্য এমসি কলেজ অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ। তিনি বলেন- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেন অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জুলাই রাতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির মধ্যকার সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের আগুনে পুড়েছিলো মুরারি চাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসের ৩টি ব্লকের ৪২টি কক্ষ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here