খবর ৭১ঃ ১২ দিনপর নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) মৃতদেহ গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুরিএলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান রাজধানীর শ্যামলী ২নং রোড এলাকার সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। জিসান ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল বিভাগের ছাত্রছিলেন। তিনি পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলচালক ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি কামারজুরি বাজার এলাকায় খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন এবং ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া থাকেন।
গাছা থানার এসআই ফোরকান জানান, গত ১২ মে ঢাকার শেরেবাংলা থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে গাজীপুরের কাথোরায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান।
এ ঘটনায় পর দিন গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন শহীদ। এর চার দিন পর ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
ঢাকার শেরেবাংলা থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, থানার জিডির সূত্র ধরে তদন্তকালে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সূত্রে জানা যায় এ ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি হাসিবুল ইসলাম গাছা থানা এলাকায় অবস্থান করছেন।
পরে গাছা থানার সহযোগিতা নিয়ে কাথোরা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি থেকে হাসিবুলকে আটক এবং তার কক্ষ থেকে নিখোঁজ জিসানের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে আটক হাসিবুলের স্বীকারোক্তি মতে, ওই বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।